২০১৬-তে সাকিবের সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৭৬ কোটি, বর্তমানে তার সম্পদের হিসাব আপনাকেও অবাক করবে

ক্রিকেটে ধনী খেলোয়াড় মানেই ভারতীয় খেলোয়াড়দের ছবিটা ভেসে উঠবে মনে। কিন্তু বাংলাদেশের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তারকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও খুব পিছিয়ে নেই।

বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটার হিসেবে আখ্যায়িত সাকিবের সম্পদের পরিমাণ ২০১৬ সালে ছিলো সাড়ে তিন কোটি ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২৭৫ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০ টাকা।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকেট ট্র্যাকার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে সাকিবের আয়ের এই তথ্য উঠে এসেছিল। বিশ্বের প্রায় সব বড় টি টোয়েন্টি লিগে খেলা সাকিবের বেতন, চুক্তির পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি কসমেটিকস, রেস্তোরাঁ ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় জড়িত সাকিব।

গত বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে বেতন হিসেবে প্রতি মাসে সাকিব আল হাসান পেয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা করে। এ বছর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হচ্ছে তার বেতন। পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতি ম্যাচে ফি পেয়েছেন লাখ টাকার উপরে।

এ ছাড়া দৈনিক ভাতা তো আছেই। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন সাকিব। ২০১১ সালে আইপিএলে সাকিবকে ৪ লাখ ২৫ হাজার ডলারে কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।

২০১৬-২০১৭ সালেও কলকাতায় হয়ে খেলেছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। ২০১৬ সালে সাকিবকে রেখে দেওয়ায় ২ কোটি ৮০ হাজার রূপি দিতে হচ্ছে কেকেআরকে।

এ ছাড়া বাংলাদেশে বিপিএলেও সাকিবের আয় হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছিলেন সাকিব। সর্বশেষ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটস থেকে পেয়েছেন ৯০ লাখ টাকা।

আইপিএল ও বিপিএলের মতো পাকিস্তানের সুপার লিগেও সাকিব এগিয়ে। ২০১৬ সালে পিএসএলে প্লাটিনাম গ্রুপে সাকিব খেলেছেন করাচি কিংসে। এজন্য পেয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও কাউন্টি ক্রিকেট থেকে হাজারো ডলার আয় করেছেন সাকিব।

২০০৯ সালে উইজডেন ম্যাগাজিনের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার নির্বাচিত হন সাকিব। সে সময় বড় অঙ্কের অর্থ সাকিবের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ক্রিকেটের বাইরেও সাকিবের আয় আকাশচুম্বি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যদূত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন সাকিব।

পেপসি, ক্যাস্ট্রল, নর্টন এন্টিভাইরাস, বুস্ট, লাইফবয়, লা রিভ, লেনেভো, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, বাংলালিংক, রানার মোটরসাইকেল, জান এন জি আইসক্রিম, টিফিন বিস্কুটস, সিঙ্গার ইলেকট্রনিকসের বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ পেয়েছেন সাকিব।

ব্যক্তিগত ব্যবসাতেও সাকিব সফল। যমুনা ফিউচার পার্কে সাকিবের নিজস্ব কসমেটিকসের দোকান কসমিক জোভিয়ান, বনানীতে নিজের রেস্টুরেস্ট সাকিবস ডাইন এরই মধ্যে লাভের মুখ দেখেছে। প্রচুর আয় হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে।

গত বছর ‘ফিয়েস্তা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের। বর্তমানে সাকিবের আয় ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে (আনুমানিক)

The post ২০১৬-তে সাকিবের সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৭৬ কোটি, বর্তমানে তার সম্পদের হিসাব আপনাকেও অবাক করবে appeared first on Bangla News blog | News | bdview24.com.



from খেলাধুলা – Bangla News blog | News | bdview24.com https://ift.tt/2EvlIti