বাংলাদেশের মান বাঁচানোর লড়াই !!!!

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে মান বাঁচাতে হলে বুধবার তৃতীয় ও শেষ একদিনের খেলায় ঘুরে দাঁড়াতেই হবে বাংলাদেশকে। আর অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য বিশ্বকাপের পর নিজেদের প্রথম একদিনের সিরিজে শতভাগ সাফল্য নিয়ে দেশে ফেরা। প্রথম দুই খেলায় জিতে এরই মধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায়। মান বাঁচাতে হলে একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান, বোলার ও ফিল্ডারদের। তিন বিভাগে এক সঙ্গে ভালো করতে পারলেই কেবল একদিনের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলকে দেশের কন্ডিশনে চাপে ফেলা সম্ভব। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস বিশ্বকাপে রান পেলেও এবার দুই খেলাতেই ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম খেলায় অর্ধশতক পেলেও পরের ম্যাচে ব্যর্থ অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। শাহরিয়ার নাফীস দ্বিতীয় খেলায় রান পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। রানের মধ্যে আছেন কেবল মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুই খেলাতেই ষষ্ঠ উইকেটে ভালো জুটি গড়েছেন তারা। উপরের সারির আরেক ব্যাটসম্যান রকিবুলের ব্যাটেও হাসি নেই। তাই বুধবারের ম্যাচে তার জায়গায় অলক কাপালী কিংবা শুভগত হোম চৌধুরীর মধ্যে যে কোনো একজনকে দলে দেখা যেতে পারে। প্রথম খেলায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তামিম অর্ধশতক হাঁকালেও তা কার্যকর ছিল না। দ্বিতীয় খেলায় নাফীস ও মুশফিক অর্ধশতক পেয়েছেন। কিন্তু অন্যরা তেমন কোনো অবদান রাখতে না পারায় বেশি দূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ সেই তুলনায় কিছুটা ভালো। তবে দ্বিতীয় খেলায় শেন ওয়াটসন ঝড়ের পর তৃতীয় খেলায় বোলারদের ফিরে আসা বেশ কঠিন হতে পারে। প্রথম খেলায় ২৭০ ও পরের খেলায় মাত্র ২৬ ওভারে ২৩২ রান করার পর অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস থাকবে তুঙ্গে। তার পরেও নিজেদের দিনে যে কোনো ব্যাটিং লাইন গুড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন স্বাগতিক স্পিনাররা। তৃতীয় খেলায়ও বাংলাদেশকে আলাদাভাবে ভাবতে হবে ফিল্ডিং নিয়ে। প্রথম দুই খেলায় বেশ কিছু সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন ফিল্ডাররা। প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক ক্লার্ক ও দ্বিতীয় ম্যাচে সহ-অধিনায়ক ওয়াটসন দুজনই 'ভাগ্যে'র সঙ্গে থাকার কথা বলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসার ব্রেট লি, মিচেল জনসন ও জন হেস্টিংস স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। জাভিয়ের ডোয়ার্টি, ক্লার্ক ও স্মিথ দলে থাকায় স্পিন বৈচিত্র্যও কম নয় অস্ট্্েরলিয়ার। এর বাইরেও অনেক কিছুর সঙ্গেই লড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে। বিশ্বকাপের '৫৮' ও '৭৮' রানের দুঃস্বপ্ন এখনো হয়তো দলকে তাড়া করে। অন্যদিকে বোলাররাও স্বস্তিতে নেই। বিশ্বকাপে ভারত ও গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মোটেও ভালো করতে পারেননি তারা। এ সবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের শঙ্কা। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই খেলায় অসহায় আত্মসমর্পণ। সব মিলিয়ে বেশ চাপে বাংলাদেশ।