টাইগারদের অগ্নিপরীক্ষা ও জীবন মরণ যুদ্দ

আজ বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা। এটা নয় যে, বাংলাদেশ কোনো দিন ইংল্যান্ডকে হারায়নি অথবা হারানোর ক্ষমতা রাখে না। অগ্নিপরীক্ষা বললাম এই জন্য যে, এ ম্যাচের জয়-পরাজয়ের মধ্যেই লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হওয়া না হওয়ার ব্যাপারটি।আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নতুন করে জীবন ফিরে পান ইংলিশরা কোয়ার্টার ফাইনাল কোয়ালিফিকেশন দৌড়ে। ১৭১ রানের টার্গেট ডিফেন্ড করে ম্যাচ জেতার পেছনে প্রয়োজন অদম্য মনোবল এবং অতীব ভালো বোলিং ও ফিল্ডিং। পুরোটাই প্রদর্শিত হয়েছিল ইংলিশদের পারফরম্যান্সে। প্রথমবারের মতো ঝলসে উঠেছিলেন অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রড।বাংলাদেশের সঙ্গে অবশ্য তাদের দলে আজ থাকছেন না কেভিন পিটারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দুজনই যথাক্রমে অসুস্থ এবং আহত হয়ে যাওয়ায় থাকছেন না এ ম্যাচে। ভালো খবর অবশ্যই টাইগারদের জন্য, কেভিন পিটারসেনের স্থলে মর্গান যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলে। অত্যন্ত মারকুটে ব্যাটসম্যান তিনি। নিশ্চয়ই তাদের ব্যাটিংশক্তি বৃদ্ধি করবে।

প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশ দল তাদের আগের ম্যাচের 'Nightmare' থেকে ভালোভাবে বেরিয়ে আসতে পারবে কি না? দলে কোনো পরিবর্তন আসছে কি না? টস জিতে ব্যাটিং না বোলিং?- এসব প্রশ্নই ক্রিকেটপাগল জনমনে কয়েকদিন যাবৎ ঘুরপাক খাচ্ছে। যা কিছুই ঘটুক না কেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি খেলোয়াড়কে তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে শ্রেষ্ঠ খেলাটাই খেলতে হবে। চট্টগ্রামের পিচ ধরে নেওয়া যায় ঢিমেতালেরই হবে। যদি আগে ব্যাটিং করতে হয় তবে প্রথম দশটি পাওয়ার প্লে ওভারে বাড়তি রান না এলেও উইকেট খোয়ানো বিপজ্জনক হতে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ সময় বলের অবস্থা থাকবে চকচকে ও শক্ত। বলে সুইং হবে অনেক। সে কারণেই অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বে ইংলিশ ফাস্টবোলাররা উইকেট থেকে কিছুটা বাড়তি বাউন্স এবং পেস আদায় করবেন। যেহেতু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এ ধরনের বলে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। কাজেই আমি মনে করি, কোনো রকম ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। পুরো ৫০ ওভার মাথায় রেখেই ব্যাট করতে হবে। 'ডরষষ নব ঃযব পধষষ ড়ভ যব যড়ঁ' ২৫০ ঊর্ধ্ব রানের টার্গেট অবশ্যই ডিফেন্ড করার মতো স্কোর হবে বলে আমার ধারণা। বাংলাদেশের স্পিনারদের কাজটি কিছুটা কঠিন হবে এ ম্যাচে। এ জন্য যে, প্রতিষ্ঠিত বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ও রাজ্জাককে বেশির ভাগ সময়ই বল করতে হবে বেশির ভাগ বাঁহাতি ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে। দলে অফস্পিনারদের একটি বিশেষ ভূমিকা থাকা প্রয়োজন নিশ্চয়ই অনুভব করবেন অধিনায়ক সাকিব।'All said and done' টাইগারদের মনোবল সমুন্নত রেখে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে পারলেই আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ জয় ছিনিয়ে মাঠ ছাড়তে পারবে।