ঢাকায় কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামের টিকিট !

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ১১ মার্চ চট্টগ্রামে মুখোমুখি হচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনাল যেতে বিশ্বকাপ দুই দলের লড়াইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিটি ম্যাচে উপচেপড়া দর্শক সমাগম হয়েছিল। আগামী শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও তিলধরনের জায়গা থাকবে না। চট্টগ্রামে খেলা হলেও এ ম্যাচ দেখতে অন্য জেলার ক্রিকেটপ্রেমিরাও ছুটে যাবেন। বিশেষ করে ঢাকার অনেক দর্শকতো হোটেল নিশ্চিত করতে আগে থেকেই চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে তো চট্টগ্রামে যেন ঈদ উ তসব চলছে।টাইগারদের ম্যাচ জেতা নিয়ে পুরো জাতি টেনশনে রয়েছে। কিন্তু কালোবাজারিদের উল্লাস তুঙ্গে উঠেছে। যারা ব্যাংক থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি তারা নিরূপায় হয়ে কালোবাজারিদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। ২০০, ৪০০ টাকার টিকিট পাঁচ হাজার। ৭০০ টাকার টিকিট ৮/৯ হাজারেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রামের টিকিট ঢাকাতেও পাওয়া যাবে। বিসিবি বলছে কালোবাজারে যারা টিকিট বিক্রি করছে তাদের সঙ্গে বোর্ডের কোনো যোগাযোগ নেই। অথচ গতকালই মিরপুরে এক দর্শককে দেখা গেল বোর্ডের জনৈক কর্মকর্তাকে খুঁজতে। হাতে তার স্লিপও ছিল, বললেন তাকে পাঠানো হয়েছে ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে টিকিট কিনতে। মানলাম কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সঙ্গে বিসিবির কালো যোগাযোগ নেই। কিন্তু দর্শকটির কথা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বিসিবির একজন কর্মকর্তা টিকিট বিক্রি করেন কিভাবে। কেননা বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে তো টাকার ভাউচার দেখিয়ে। ভাউচার ছাড়া কোনো কর্মকর্তা যদি টিকিট বিক্রি করে থাকেন তা কি কালোবাজারের মধ্যে পড়ে না?