পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানেও হতাশার কারণ

ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ কিছুটা উন্নতি করলেও টি-২০ ম্যাচে কুন্নতির ছোঁয়া লাগেনি বললেই চলে। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয়টি টি-২০ ম্যাচের সবগুলোতে হারের প্রসঙ্গ এলে কোনো ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানও পাওয়া যায় না যা উল্লেখ করার মতো। ফলে সুধু যে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশ দলেরই পরিসংখ্যান খারাপ তাই নয়, বরং ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানও খুব একটা সুবিধার নয়।

এ পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয়টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। তাতে ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র চারটি ফিফটি। ২০০৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দলে ওপেনার হিসেবে নাজিমউদ্দিন আর জুনায়েদ সিদ্দিকী আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই দুইজনই পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন। এরপর আশরাফুল আর তারপর সাকিব পঞ্চাশ পার করেন। আর বর্তমানে যারা দলে আছেন, তাদের কেউই পাকিস্তানের বিপক্ষে সফল নন। বিশেষ করে তামিম আর মুশফিকের ব্যাট পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচে ভালোই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই রোববারের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই পাকিস্তান দলে বিপক্ষে স্বাগতিক দলের ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান শুধু হতাশাই জাগায়।

বর্তমান দলের বড় তারকা তামিম, সাকিব আর মুশফিক কেউই পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সফল নন। ২০০৭ সালে ওপেনার হিসাবে নাজিমউদ্দিন ৫০ বলে করেছিলেন ৮১ রান। আর ২০০৮ সালে করেছেন ৪২ রান। পরে তিনি দল থেকে বাদ পড়েন। জুনায়েদ সিদ্দিকী ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে এক ম্যাচ খেলে করেছেন ৪৯ বলে ৭১ রান। তিনিও দল থেকে বাদ। ছিলেন আশরাফুল, ২০১৩ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তিনিও বহিষ্কৃত হলেন। এরপর ২০১১ সালে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের সময় খেলা একটি টি-২০ ম্যাভে ছিলেন না আশরাফুল-মাশরাফি-তামিম।

কিন্তু দলের তিন কান্ডারি তামিম, সাকিব আর মুশফিক আগামীকালের ম্যাচে থাকছেন। তবে তাদের রেকর্ডও পাকিস্তানের বিপক্ষে আহামরি কিছু নয়। তামিম ঘরের মাঠে ২০১১ সালের টি-২০ ম্যাচে খেলতে পারেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিমের মোট রান পাঁচ ম্যাচে মোট (১+৩+২৩+১৯+২৪) ৭০! মুশফিক ২০০৮ সালে করাচির ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না। তিনি পাঁচ ম্যাচে রান করেছেন মোট (১+৬+৪+১০+২৫) ৪৬! সাকিব ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সামনে ছিলেন একেবারেই নতুন মুখ। তাই দলের একাদশেও ঠাঁই পাননি। কিন্ত ঠাঁই পাওয়ার পর যে তিনি বিশেষ কিছু করে ফেলেছেন তাও নয়। পরের পাঁচ ম্যাচে সাকিব করেছেন মোট (১+০+৪৭+৭+৮৪) ১৩৯ রান। আর আশরাফুল পাঁচ ম্যাচে করেছেন (৭+৫+৬৫+১৩+১৪) ১০৪ রান।

এছাড়াও বোলিংয়েও উল্লেখযোগ্য কিছুই করা সম্ভব হয়নি। ফলে টি-২০’র ছয়টি ম্যাচে একবারও পাকিস্তানকে অলআউট করা সম্ভব হয়নি। ২০১১ সালে মিরপুরের উইকেটে খেলা ম্যাচে দুই ছিলেন বোলার সাকিব আর অলক কাপালি। এখন সাকিব আছেন, কিন্তু অলক নেই। সাকিব-অলক দু’জনই দুটি করে উইকেট পেয়েছিলেন। কিন্তু মোট পরিসংখ্যান ঘাটতে গেলে বাংলাদেশী বোলাদের করুণ চেহারাটাই বের হয়ে আসে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা সফল এখন পর্যন্ত রাজ্জাক আর সাকিব। পাঁচটি করে উইকেট পকেটে জমা করেছেন দু’জনই। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর চাইতে বেশি উইকেট শিকার করতে পারেননি আর কোনো বোলার।

পেসার মাশরাফি পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র দুই উইকেট শিকার করতে পেরেছেন। আর মাহমুদুল্লাহ চার ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি!