বাংলাদেশ ১২৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি

আয়ারল্যান্ডের টি-টোয়েন্টিগুলো টিভির পর্দায় দেখা যায়নি বলে দেশজুড়ে সে কী হাহাকার! ব্যবসায়িক কারণের সঙ্গে হয়তো এই উদ্দেশ্যেও হল্যান্ডের ম্যাচগুলো সরাসরি ইন্টারনেটে দেখার ব্যবস্থা করেছে দেশের বড় একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। টিভি পর্দার মজা অবশ্যই নেই। তবে যেভাবেই হোক, বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচটা সরাসরি দেখা গেল, এটাই বা কম কী!
তবে প্রথম অভিজ্ঞতাটাই ভালো হলো না। প্রতিপক্ষের একজন ইতিহাস গড়লে কি আর ভালো লাগে! প্রথম স্কটিশ তো বটেই, টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরের প্রথম কোনো ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন রিচি বেরিংটন। সেটাও আবার মাত্র ৫৫ বলে! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই এটি মাত্র সপ্তম সেঞ্চুরি।
এমনিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে খুব একটা পাত্তা পায় না স্কটল্যান্ড। সেই আইরিশদের সদ্য উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশ স্কটিশদের কাছে একরকম প্রবল প্রতিপক্ষই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেরিংটন প্রায় একাই স্কটল্যান্ডকে এনে দেন ১৬২ রানের বেশ বড় পুঁজি। ১৮ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ১২৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ফল, ৩৪ রানের পরাজয়।
ইন্টারনেটে যা দেখা গেছে, উইকেট তাতে নিখাদ ব্যাটিংবান্ধব বলেই মনে হয়েছে। মাঠের একটা পাশ অস্বাভাবিক রকমের ছোট। এ কারণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে কিছুটা দেরিও হয়েছে দ্য হেগের এই স্পোর্টপার্ক ওয়েস্টভ্লিয়েট মাঠের। ১৬২ রানকে খুব বেশি চাপ না ভেবে স্বাভাবিক খেললেই এই রান তাড়া করা সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। বাংলাদেশের ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটিটাও হয়েছিল আশা-জাগানিয়া। কিন্তু ওভারে আটের বেশি রান তাড়া করার ‘তাড়া’টাই ডোবাল বাংলাদেশকে। আশরাফুল রানআউট হতেই উইকেট পতনের মিছিল। সাকিব, তামিম আর মাশরাফি ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতেই পারেননি কেউ।
২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলল স্কটল্যান্ড। তবে সেই জড়তা ছিল না তাদের ব্যাটিংয়ে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনাই হয়েছে, পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তুলে ফেলে ৪৭ রান। মাশরাফি-আবুল হাসানের প্রথম দুই ওভারে রান আসে ১২। আয়ারল্যান্ডের ধারা মেনে কালও দ্রুত আক্রমণে স্পিন এনেছিলেন মুশফিক।
তবে ঘাবড়ায়নি স্কটিশরা। বিশেষ করে বেরিংটন। আবুল হাসানকে ছয় মেরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ২৮ বলে। হাসানের পরের ওভারে টানা তিনটি চার! আরেক পাশ থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি, তবে অন্য পাশ থেকে একাই চালিয়ে যান তাণ্ডব। সাকিবের এক ওভারে চার-ছয় মেরে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন ৫৫ বলে। শেষ দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়ে রানটাকে আরও বেশি হতে দেননি মাশরাফি।
একই মাঠে বাংলাদেশ আজ ও আগামীকাল আরও দুটো ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক হল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে এর আগে র‌্যাঙ্কিংয়ে চার থেকে একেবারে দশে নেমে যাওয়ার দুঃখও সঙ্গী হবে মুশফিকদের!