এখনো কাটাছেঁড়া চলছে জিম্বাবুয়ে সফরের। সিরিজ হারের জন্য কেউ দোষারোপ করছেন ক্রিকেটারদের অন্তর্দ্বন্দ্বীয় কোন্দলকে, কেউ করছেন স্বল্প প্রস্তুতিকে। অন্তর্দ্বন্দ্বীয় কোন্দল কিংবা স্বল্প প্রস্তুতি, যা-ই থাকুক না কেন, সিরিজ হারের খেসারত গুনেছেন সাকিব আল হাসান অধিনায়কত্ব এবং তামিম ইকবাল সহ-অধিনায়কত্ব হারিয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুধু দুজনকে অপসারিতই করেনি, লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে দলের আত্মবিশ্বাসকে। ঘরের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে হারানো সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে ক্রিকেট বোর্ড আয়োজন করেছে জাতীয় দল 'এ' এবং একাডেমী দলকে নিয়ে বিসিবি কাপের। কাল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে একাডেমী দলকে উড়িয়ে দিয়ে গুঁড়িয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাসের অনেকটাই ফিরে পেয়েছেন তামিম, রুবেলরা। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রুবেল হোসেনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে সাকিববিহীন জাতীয় দল ৬ উইকেটে হারিয়েছে একাডেমী দলকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য বিসিবি কাপ খেলতে পারছেন না সদ্য সাবেক অধিনায়ক সাকিব।
আশ্চর্য হলেও সত্য, গতকাল অনেকদিন পর পেসারদের আধিপত্য দেখলেন ব্যাটসম্যানরা। এখানকার উইকেটের যে চরিত্র, তাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন পেসার নিয়ে একাদশ সাজানোর ঘটনাও রয়েছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতিশীল বোলারদের সাবলীলভাবে খেলার জন্য উইকেটে সামান্য ঘাস রাখা হয়েছিল। উইকেটেও বাউন্সও ছিল। আর তাতেই কুপোকাত ব্যাটসম্যানরা! বিশেষ করে দুই পেসার শফিউল ইসলাম সুহাশ ও রুবেল হোসেন সকালের হালকা ময়েশ্চারকে কাজে লাগিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন একাডেমী দলকে। অথচ এই একাডেমী দলের বিপক্ষেই অদ্ভুত নিয়মের তিনটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে জিম্বাবুয়ে উড়ে গিয়েছিল ক্রিকেট দল। গতকাল পেসারদের আধিপত্যের মাঝেই স্পিন ভেল্কি দেখিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। হ্যাটট্রিক না করলেও এক ওভারে উইকেট নিয়েছেন তিনটি। ইনিংসের ১৬ নম্বর ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন আলাউদ্দিন বাবুকে। দ্বিতীয় বল ডট। তৃতীয় বলে লেগ বিফোর সোহাগ গাজী এবং চতুর্থ বলে সাকলাইন সজীবের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের শুভ। শুভর বোলিং স্পেল ছিল ৪-১-১০-৩ উইকেট। ম্যাচসেরা রুবেল ৭.৪ ওভারে ২২ রানে নেন ৪ উইকেট। শুরুতে রুবেলের বিধ্বংসী গতি এবং শেষে শুভর ঘূর্ণিতে একাডেমী দলের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৭৫ রানে। ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল ২০.৪ ওভার। ৭৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল কায়েশ ঝড়ো গতির ব্যাটিং করে ৯.৫ ওভারে ৪১ রান তুলে ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দেন। এর মধ্যে সাবলীল ব্যাটিং করেন তামিম। ৩৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটিতে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছয়। ফর্মে ফেরার লড়াইরত ইমরুল করেন ১৩ রান। স্বল্পসময় ক্রিজে থাকলেও কাপালি অনেকদিন পর দ্যুতি ছড়িয়েছেন ব্যাটিংয়ে। ২২ বলে তিন চার ও এক ছয়ে অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। কাপালির আলো ছড়ানো ব্যাটিংয়েই হঠাৎ ব্যাটিং (!) বিপর্যয় এড়ায় জাতীয় দল। আলাউদ্দিন বাবু ও সোহাগ গাজীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে ৫৪ রানের তিন উইকেট হারায় জাতীয় দল।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজে নামার আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া এবং স্কোয়াড বাছাইয়ের জন্য ভীষণ জরুরি বিসিবি কাপের আয়োজনে সন্তুষ্ট কোচ স্টুয়ার্ট ল। সিরিজের আগে ম্যাচের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন কোচ। তিনি বলেন, 'ম্যাচ খেললে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আশা করি এই ম্যাচগুলো খেলে ক্রিকেটাররা নিজেদের ভুল শুধরে নেবে।' ম্যাচ জিতে খুশি ল আরও বড় ব্যবধানে জিততে চেয়েছিলেন। বলেন, 'আমরা ম্যাচ জিতেছি। এর জন্য ৪ উইকেট হারিয়েছি। ১ কিংবা ২ উইকেট হারালে ভালো লাগত।' রুবেলের বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে কোচ বলেন, 'সপ্তাহজুড়েই ভালো বোলিং করছিল রুবেল। সে-ই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ম্যাচে।' ম্যাচসেরা রুবেল সন্তুষ্ট নিজের পারফরম্যান্সে। বলেন, 'উইকেটে ঘাস থাকায় পেসাররা বাড়তি কিছু সুবিধা পেয়েছে। উইকেট পেলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে বোলারদের।'
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি ক্রিকেট একাডেমী
৭৫/১০, ২০.৪ ওভার (মাইশুকুর রহমান ১৮, মাহমুদুল হাসান ১৪, তানভীর হায়দার ২৪*। শফিউল ইসলাম সুহাশ ২/২৬, রুবেল হোসেন ৪/২২, রাজ্জাক রাজ ১/১৯, সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩/১০)।
জাতীয় দল
৭৯/৪, ১৯ ওভার (তামিম ইকবাল ৩৬, ইমরুল কায়েশ ১৩, শাহরিয়ার নাফিস ২, শুভাগত হোম ০, মুশফিকুর রহিম ২*, অলক কাপালি ২২*। আলাউদ্দিন বাবু ২/১৫) ।
আশ্চর্য হলেও সত্য, গতকাল অনেকদিন পর পেসারদের আধিপত্য দেখলেন ব্যাটসম্যানরা। এখানকার উইকেটের যে চরিত্র, তাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে একজন পেসার নিয়ে একাদশ সাজানোর ঘটনাও রয়েছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতিশীল বোলারদের সাবলীলভাবে খেলার জন্য উইকেটে সামান্য ঘাস রাখা হয়েছিল। উইকেটেও বাউন্সও ছিল। আর তাতেই কুপোকাত ব্যাটসম্যানরা! বিশেষ করে দুই পেসার শফিউল ইসলাম সুহাশ ও রুবেল হোসেন সকালের হালকা ময়েশ্চারকে কাজে লাগিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন একাডেমী দলকে। অথচ এই একাডেমী দলের বিপক্ষেই অদ্ভুত নিয়মের তিনটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে জিম্বাবুয়ে উড়ে গিয়েছিল ক্রিকেট দল। গতকাল পেসারদের আধিপত্যের মাঝেই স্পিন ভেল্কি দেখিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। হ্যাটট্রিক না করলেও এক ওভারে উইকেট নিয়েছেন তিনটি। ইনিংসের ১৬ নম্বর ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন আলাউদ্দিন বাবুকে। দ্বিতীয় বল ডট। তৃতীয় বলে লেগ বিফোর সোহাগ গাজী এবং চতুর্থ বলে সাকলাইন সজীবের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের শুভ। শুভর বোলিং স্পেল ছিল ৪-১-১০-৩ উইকেট। ম্যাচসেরা রুবেল ৭.৪ ওভারে ২২ রানে নেন ৪ উইকেট। শুরুতে রুবেলের বিধ্বংসী গতি এবং শেষে শুভর ঘূর্ণিতে একাডেমী দলের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৭৫ রানে। ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল ২০.৪ ওভার। ৭৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল কায়েশ ঝড়ো গতির ব্যাটিং করে ৯.৫ ওভারে ৪১ রান তুলে ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দেন। এর মধ্যে সাবলীল ব্যাটিং করেন তামিম। ৩৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটিতে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছয়। ফর্মে ফেরার লড়াইরত ইমরুল করেন ১৩ রান। স্বল্পসময় ক্রিজে থাকলেও কাপালি অনেকদিন পর দ্যুতি ছড়িয়েছেন ব্যাটিংয়ে। ২২ বলে তিন চার ও এক ছয়ে অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। কাপালির আলো ছড়ানো ব্যাটিংয়েই হঠাৎ ব্যাটিং (!) বিপর্যয় এড়ায় জাতীয় দল। আলাউদ্দিন বাবু ও সোহাগ গাজীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে ৫৪ রানের তিন উইকেট হারায় জাতীয় দল।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজে নামার আগে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া এবং স্কোয়াড বাছাইয়ের জন্য ভীষণ জরুরি বিসিবি কাপের আয়োজনে সন্তুষ্ট কোচ স্টুয়ার্ট ল। সিরিজের আগে ম্যাচের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন কোচ। তিনি বলেন, 'ম্যাচ খেললে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আশা করি এই ম্যাচগুলো খেলে ক্রিকেটাররা নিজেদের ভুল শুধরে নেবে।' ম্যাচ জিতে খুশি ল আরও বড় ব্যবধানে জিততে চেয়েছিলেন। বলেন, 'আমরা ম্যাচ জিতেছি। এর জন্য ৪ উইকেট হারিয়েছি। ১ কিংবা ২ উইকেট হারালে ভালো লাগত।' রুবেলের বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে কোচ বলেন, 'সপ্তাহজুড়েই ভালো বোলিং করছিল রুবেল। সে-ই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ম্যাচে।' ম্যাচসেরা রুবেল সন্তুষ্ট নিজের পারফরম্যান্সে। বলেন, 'উইকেটে ঘাস থাকায় পেসাররা বাড়তি কিছু সুবিধা পেয়েছে। উইকেট পেলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে বোলারদের।'
বিসিবি ক্রিকেট একাডেমী
৭৫/১০, ২০.৪ ওভার (মাইশুকুর রহমান ১৮, মাহমুদুল হাসান ১৪, তানভীর হায়দার ২৪*। শফিউল ইসলাম সুহাশ ২/২৬, রুবেল হোসেন ৪/২২, রাজ্জাক রাজ ১/১৯, সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩/১০)।
জাতীয় দল
৭৯/৪, ১৯ ওভার (তামিম ইকবাল ৩৬, ইমরুল কায়েশ ১৩, শাহরিয়ার নাফিস ২, শুভাগত হোম ০, মুশফিকুর রহিম ২*, অলক কাপালি ২২*। আলাউদ্দিন বাবু ২/১৫) ।