সাকিববিহীন গৌতম গম্ভীরের দল এর আরেকটি জয়

আগের ম্যাচে কোচি টাস্কার্সের বিপক্ষে ১৭ রানে হারের পর সম্ভাবনা জেগেছিল সাকিব আল হাসানের মাঠে নামার। কিন্তু কালও তাকে ইডেনের সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। এদিন সাকিববিহীন গৌতম গম্ভীরের দল ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে জিতেছে ১০ রানে। তবে সাইড বেঞ্চে বসেও হতাশ নন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 'দল যা ভালো মনে করছে তা-ই করছে। আমি মোটেও হতাশ নই'_ খেলা চলার সময়ই বলেছেন সাকিব। এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচ তিনি নাইট রাইডার্সের সাইড বেঞ্চে বসে কাটালেন। এদিন টস জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের ব্যাটিং ছিল টেস্ট মেজাজের! ৫.৪ ওভারে ১৫/২! নাইট বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেখান থেকে আর বেরোতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। ৪৯/৩ থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন বদ্রিনাথ এবং অ্যালবি মরকেল। দু'জনে মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৬৫ রান। তারপরও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি চেন্নাই। বদ্রিনাথ ৪১ বলে ৫৪, মরকেল অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়ে আসা ইকবাল আবদুল্লাহ এদিন ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। ইউসুফ পাঠান ২৫ এবং আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা লক্ষ্মিপতি বালাজি ৩৩ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট। আগের ম্যাচে ৬৬ রান করেছিলেন বটে কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। এদিন ৯ রানেই অশ্বিনের বলে বোল্ড হলেন সেই ইয়ন মরগ্যান (৫)। ৩৩ রানে ফিরে যান গম্ভীরও (১৬)। দলকে (৬১/২, ১০ ওভার) যখন ক্যালিস (২১) এবং মনোজ তিওয়ারি টানছেন তখনই বাধ সাধে বৃষ্টি। সংক্ষিপ্ত স্কোর : চেন্নাই সুপার কিংস : ১১৪/৪, ২০ ওভার (বদ্রিনাথ ৫৪, মরকেল ৩০, হাসি ১৫। আবদুল্লাহ ১/১৫, ইউসুফ ১/২৫)। কলকাতা নাইট রাইডার্স : ৬১/২, ১০ ওভার (ক্যালিস ২১, গম্ভীর ১৬, তিওয়ারি ১৫)। ফল : কলকাতা নাইট রাইডার্স ১০ রানে জয়ী (ডি/এল)