Sofiul is The Best.....................

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের সেরা পেসার কে- প্রশ্ন করা হলে বেশির ভাগেরই উত্তর হবে শফিউল ইসলাম সুহাস। জাতীয় দলের হয়ে ৪ঠা জানুয়ারি ২০১০ এ ওডিআই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হওয়া শফিউলের চোখে এখন শুধুই বিশ্বকাপ। ক্যারিয়ারে ২৩টি ওডিআই ম্যাচে ৩২টি উইকেট আর ৫ টেস্টে ৭টি উইকেট শিকারী এই পেসার আইসিসির উদীয়মান ক্রিকেটারের খ্যাতি পেয়ে গেছেন। বগুড়ার ছেলে শফিউল ইসলাম স্বপ্নেও কল্পনা করেননি তিনি ২০১১-এর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবেন। তাই বিশ্বকাপ বলতেই তার চোখে-মুখে অন্য রকম একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল। অভিষেক থেকে গত ২৭শে জানুয়ারি মাত্র ১ বছর ২৪ দিনেই বিশ্বকাপ? সামপ্রতিক সময়ে তার পারফরমেন্স বোলিং অ্যাকশন সব মিলিয়ে শফিউল এখন জাতীয় দলের তারকা। এসব নিয়ে কথা হয় জাতীয় দলের এই উদীয়মান পেসারের সঙ্গে।মানবজমিন: ২০১১ বিশ্বকাপ তো আপনার প্রথম বিশ্বকাপ, কেমন লাগছে?শফিউল ইসলাম: এটা তো আমার কাছে স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু না। আমি তো কল্পনাও করিনি বিশ্বকাপ খেলবো। এই মুহূর্তে আমার দিন-রাত, ধ্যান-জ্ঞান কেবলই বিশ্বকাপ। আমি যখন খেলা শুরু করি তখনও ভাবিনি বিশ্বকাপ খেলবো।মানবজমিন: এ যাবৎ খেলা ২৩ ওয়ানডে ম্যাচে কোন ব্যাটসম্যানকে বল করা আপনার কাছে কঠিন মনে হয়েছে?শফিউল ইসলাম: এমন কাউকে আমি পাইনি। যখন যে ভাল খেলেছে তাকেই আমার কঠিন মনে হয়েছে। তবে শচীনের বিরুদ্ধে আমি টেস্টে বল করেছি। ওডিআই ম্যাচে শচীনের বিপক্ষে বল করা হয়নি। এবার বিশ্বকাপে সে আশা পূর্ণ হবে।মানবজমিন: কোন ম্যাচটি বেশি স্মরণীয়?শফিউল ইসলাম: ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে সিরিজের প্রথম ওডিআই ম্যাচ। ওই দিন আমি ৬৮ রানে ৪ উইকেট শিকার করি।মানবজমিন: বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী তিনটি দল ভারত, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্টইন্ডিজ। এ তিন দলের কোন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আপনার বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কি?শফিউল ইসলাম: ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে একাধিক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আছে। আমি ভাবছি, লম্বা লাইনআপের ভারতকে নিয়ে। ভারত এ উপমহাদেশের দল। ওরা বাংলাদেশের কন্ডিশনের পেস ও স্পিন খেলে অভ্যস্ত। তাই ওদের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা তো থাকবেই।মানবজমিন: ওডিআই ম্যাচে অভিষেক বছরে ২৩ ম্যাচে ৩২ উইকেট শিকার করে আইসিসি বর্ষসেরা তৃতীয় উইকেট শিকারী হয়েছেন। বিশ্বকাপে এই খ্যাতিটা কি আপনাকে চাপে ফেলবে বলে মনে করেন?শফিউল ইসলাম: না, আমি তা মনে করি না। যা হয়েছে তা শুধু ঘটে যাওয়া ঘটনা। এখন যা হবে তা সবই নতুন। বিশ্বকাপ নিয়ে আমি আলাদাভাবে ভাবছি। বিশ্বকাপে আমি যে পারফরমেন্স করবো সেটা পুরো বিশ্ব দেখবে। চাপ নিয়ে কখনও ভাল খেলা যায় না।মানবজমিন: আপনি তো জাতীয় দলের পেসারদের মধ্যে এই মুহূর্তে সেরা। আপনার বর্তমান জীবন-যাপনে কোন সমস্যা হয় কি?শফিউল ইসলাম: না, তা কেন হবে? আমি আগের মতোই আছি এবং সে রকমই থাকতে চাই। সাধারণ জীবন-যাপনই আমার পছন্দ।মানবজমিন: আন্তর্জাতিক বোলারদের মধ্যে আপনি কাকে মডেল হিসাবে ফলো করেন?শফিউল ইসলাম: ব্রেট লি, শোয়েব আক্তার ও অবশ্যই মাশরাফি ভাই।মানবজমিন: বিশ্বকাপে আপনার পরিকল্পনা কি?শফিউল ইসলাম: আমি ২০১১ বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। যাতে করে এদেশের মানুষ আমাকে মনে রাখে। এবং আমি আগামী দিনের ক্রিকেটারদের কাছে অনুকরণীয় কিছু করে যেতে চাই।মানবজমিন: একটি ব্যক্তিগত প্রশ্ন। প্রেম করেন বলে শোনা যায়। সেটা কবে থেকে এবং কার সঙ্গে?শফিউল ইসলাম: এক জনকে ভালবাসি। সে বগুড়ায় থাকে। তার নাম বলা যাবে না। সম্পর্ক ৬ বছরের।