একই পরিবার থেকে তিনজনের বিশ্বকাপ খেলা অবিস্মরণীয় এক রেকর্ড !

১১ মার্চ তামিমের বিশেষ একদিনই বলা যায়। কেননা বাংলাদেশের এগ্রেট ক্রিকেটারের কাছে বিশ্বকাপে মাঠে নামাটা নতুন কিছু নয়। ২০০৭ সাল থেকেই তিনি বিশ্বকাপ খেলছেন। এর আগে চাচা আকরাম খান ও বড় ভাই নাফিস ইকবালও বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সি পরেছেন। এক পরিবার থেকে তিনজনের বিশ্বকাপ খেলা অবিস্মরণীয় এক রেকর্ড হয়ে আছে। তারপরও তামিমকে ভাগ্যবানই বলতে হয়। এই প্রথম কোনো চট্টগ্রামের ক্রিকেটার নিজের মাঠে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন। চট্টলা নয় পুরো দেশবাসীর প্রত্যাশা নিজের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপে তামিম ইংলিশদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠবেন। আসলে নিজের মাটিতে খেলতে নামলে খেলোয়াড়দের মনোবলই থাকে অন্যরকম। নিজের সমর্থকদের উল্লাস ধ্বনি শুনে খেলোয়াড়রা আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেন। অন্যদিকে আবার অসুবিধাও কম থাকে না। কেননা নিজেদের লোক বলে স্থানীয় দর্শকদের প্রত্যাশা থাকে। ঘরের ছেলে তাদের সামনে সেরা খেলাটাই উপহার দেবেন_ এই বাড়তি চাপে খেলোয়াড়রা নিজের সামর্থ্যটা তুলে ধরতে পারেন না। প্রত্যাশা বেশি বলেই হয়তোবা ১১ মার্চ তামিম একটু টেনশনেও থাকবেন। তবে দেশের স্বার্থে তামিমের ব্যাট জ্বলে উঠতে হবেই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিনটি সেঞ্চুরি পেলেও চট্টগ্রামবাসীরা স্বচক্ষে এখন তা দেখতে পারেননি। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে অনবদ্য ব্যাটিং করলেও দুর্ভাগ্যক্রমে ৯৫ রানে আউট হয়ে যান। বিশ্বকাপে তামিম যদি সেঞ্চুরি পেয়ে যান তাহলে দীর্ঘদিনের জমে থাকা আশাও পূরণ হয়ে যাবে।