টাইগারদের ম্যাচ জেতার প্রতিজ্ঞা !!!!!!!

কেভিন পিটারসন হার্নিয়ার ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে উড়াল দিয়েছেন আটলান্টিকের তীরে। স্টুয়ার্ট ব্রড ইনজুরির কারণে আগামী শুক্রবারের ম্যাচে নামতে পারছেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে। কেভিন পিটারসন সাকিবদের জন্য একটি বড় বাধা ছিলেন। বড় বাধা ছিলেন ব্রড ও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ১৫ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন নটিংহ্যামশায়ারের এই পেসার। টাইগারদের বিপক্ষে তিনি খেলবেন না জেনে কি কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান? বিশ্বকাপের আশা গ্রুপ পর্বের পরও বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে টাইগারদের। সাকিবকে তো আশাবাদী হতেই হবে। তামিম ইকবাল প্রস্তুতি নিয়েছেন বিজয়ের জন্য। অন্যরাও কঠোর অনুশীলনে মেতে আছেন চট্টগ্রামে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দশম বিশ্বকাপের ২৮তম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। এর আগে এই মাঠে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাঝে দুটি বাতিল হয়েছে, চারটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এবং পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল। সুতরাং নিজেদের মাটিতে ইংলিশদের হারানোর ক্ষেত্রে একটি প্রতিশোধপ্রবণতাও কাজ করতে পারে। সেই লক্ষ্যেই তো প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাকিবরা।জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২৫০ এর ওপর যে কোনো রান টপকে যাওয়া কঠিন হবে। বাংলাদেশকে সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই খেলতে হবে। একদিক থেকে সাকিবকে সহায়তা দিতে পারে চট্টলা। এখানে রান টপকে জয় পাওয়ার রেকর্ড খুবই কম। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২২১ রানের লক্ষ্য টপকেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালের নভেম্বরে। মাত্র তিনটি ম্যাচে পরে ব্যাট করা দল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এখানে। সাকিব আল হাসানের জন্য পরিসংখ্যানটি বেশ স্বস্তিকর হতে পারে। দশম বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত টসে অপরাজিত আছেন সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামেও টস জয় করে আগে ব্যাটিং নিয়ে ২৫০ রানের ওপর টার্গেট ছুড়তে পারলেই কেল্লা ফতে! দুর্গ জয় হোক আর না হোক। ম্যাচ তো জয় করা হবে। সাকিবের টস ভাগ্যটা চট্টগ্রামেই কাজে লেগে যেতে পারে। স্টুয়ার্ট ব্রড এখনো আশা করছেন বিশ্বকাপে খেলবেন বলে। যে সামান্য ইনজুরিতে তিনি পড়েছেন তাকে তেমন গুরুত্বই দিচ্ছেন না। 'আমি এখনো বিশ্বাস করি বিশ্বকাপ খেলব বলে।' ব্রডের এই কথাতে বাংলাদেশের জন্য অন্তত ভয়ের কিছু নেই। পিটারসেন বাংলাদেশের বিপক্ষে না খেলায় একটি সুবিধা হয়েছে বটে। তবে এন্ড্রু স্ট্রাউসের দিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ইংলিশ অধিনায়কই (প্রায় ৯৭ গড়ে ৫৯২ রান)।চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলকে জয় পেতে হলে আগে ব্যাটিং নিয়ে রান করতে হবে অন্তত ২৫০ কিংবা তার উপরে। তবেই কোয়ার্টার ফাইনালের আশা বেঁচে থাকবে সাকিবদের। ইংলিশদের ইনজুরি বাংলাদেশের জন্য এক ধরনের আশা বটে। তবে সেইসঙ্গে নিজেদের বিশ্বাসটাও থাকতে হবে অনেক উপরে, যার কথা বলেছেন তামিম ইকবাল। 'আমরা চট্টগ্রামে ঢাকার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ) কথা মনে রাখতে চাই না।' তামিমের কথাটি আগামী শুক্রবারের জন্য সত্যি হয়ে যাক।